ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জঙ্গীঘাঁটি সন্দেহে নেত্রকোণার সেই বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশী 

জঙ্গীঘাঁটি সন্দেহে নেত্রকোণার সেই বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশী 

জঙ্গীঘাঁটি সন্দেহে নেত্রকোণার সেই বাড়িতে তল্লাশী চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগে শনিবার (৮জুন) বিকেলে নেত্রকোণা জেলা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া গ্রামের ওই বাড়ি থেকে গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেন তারা।

নেত্রকোণার পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ ফয়েজ আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের বিভিন্ন সূত্র জানায়, ভাসাপাড়া গ্রামের ওই বাড়ির মালিক ড. আব্দুল মান্নান। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী, ঢাকার গাজিপুরে বসবাস করেন। তার বাড়িতে প্রায় দুই বছর ধরে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন আরিফ নামের এক ব্যক্তি। উঁচু প্রাচীর ঘেরা বাড়িটির চারপাশে সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল। স্থানীয়দের এই বাড়িতে ঢোকার সুযোগ ছিল না। এই বাড়িটিই জঙ্গীদলের ঘাঁটি বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানে জঙ্গী প্রশিক্ষণ হতো বলেও অনেকের ধারণা।

এসপি মোঃ ফয়েজ আহমেদ জানান, গোপনসূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সদর থানার ওসি আবুল কালামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আরিফের বসবাস করা বাড়িটিতে প্রাথমিক তল্লাশী চালিয়ে একটি বিদেশী পিস্তল, ১৭ রাউন্ড গুলি, একটি ডামি একে৪৭ রাইফেল, বিভিন্ন ধরণের খেলনা পিস্তল, জিহাদি বই প্রভৃতি উদ্ধার করা হয়। বাড়িটিতে বোমাসহ আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিকেলে ময়মনসিংহ থেকে একটি বোমা ডিসপোজাল দল এসে বাড়ির ভিতর তল্লাশী চালায়। রাতেই ঢাকা থেকে বোমা ডিসপোজালে অভিজ্ঞ আরো একটি দল আসবে। অন্যান্য বিশেষায়ীত বাহিনীকেও খবর দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই। তবে বাড়িটিতে সাধারনের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের আগমন টের পেয়ে জঙ্গীদল পালিয়ে গেছে। রাত ১২টায় এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত অন্য কোন আপডেট জানা যায়নি।

অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক আসাদুল্লাহ চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বিশেষজ্ঞ দল, সোয়াট ইউনিটের বিশেষজ্ঞ দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসার পর ভেতরে কী আছে বিস্তারিত বলা যাবে।

নেত্রকোণা,জঙ্গীঘাঁটি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত